আন্তর্র্জাতিক ডেস্ক: মায়ানমারে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রাজধানী নেপিদ সহ সাতটি রাজ্য ও সাতটি অঞ্চলে একযোগে ভোট চলছে। বিবিসি জানাচ্ছে, দেশটিতেই সেনা শাসন অবসানের পর এটি দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত সর্বময় নেত্রী আউং সান সু কি।
মায়ানমারের সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। নির্বাচনে দেশটির রাখাইন ও কাচিন প্রদেশে জঙ্গি হামলার বিরাট আশঙ্কা আছে। তবে সেনা বাহিনির টহলও চলছে।
এই রাখাইন প্রদেশে (পূর্বতন আরাকান) বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গেষ্ঠীর সঙ্গে মায়ানমার সেনার সংঘর্ষের পর গণহত্যায় মদত দেওয়ার অভিযোগে বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হয়েছেন নোবেল জয়ী নেত্রী সু কি। রাষ্ট্রসংঘেও তিনি সমালোচিত হন। আন্তর্জাতিক স্তরে তাঁর নোবেল ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি উঠেছে বারবার।
মায়ানমারে গণহত্যা থেকে বাঁচতে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বি়হাগে ঢুকে পড়েন। তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার সমকালীন সব থেকে বৃহত্তম শরণার্থী শিবির তৈরি করেছে। বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার রোহিঙ্গাদের ঘিরে বারবার বিতর্কের মুখে। ঢাকা চায় অবিলম্বে এই শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিক মায়ানমার। বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছেন সে দেশের সর্বময় নেত্রী সু কি।
এই পরিস্থিতির মধ্যে মায়ানমারের নির্বাচন। বিবিসি ও সিএনএন জানিয়েছে, আউং সান সু কি এর দল এনএলডি আবারও ক্ষমতায় আসবে। কারণ, প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য দলগুলির অস্তিত্ব প্রায় নেই। বিশ্লেষকদের যুক্তি, সু কি ক্ষমতায় থাকুন এটাই চায় দেশটির আসল ক্ষমতাধর সেনা কর্তারা।
নোবেলজয়ী সু কি ও তাঁর দল এনএলডি ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিপুল জয় পান। টানা ৫০ বছর সেনা শাসনে থাকার পর মায়ানমারে প্রথম গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হয়। কিন্তু আইন অনুসারে বিদেশি বিবাহ করার জন্য সু কি প্রেসিডেন্ট হননি। তিনি মায়ানমারের ‘ডি ফ্যাক্টো’ সুপ্রিমো বা সর্বময় নেত্রী।
মতিহার বার্তা ডট কম: ০৮ নভেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.